লক্ষ্মীনারায়ন নামে জনৈক ব্যক্তি কাপড়ের ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে দালাল বাজার আসেন। তার পুত্র ব্রজবল্লভ স্বীয় দক্ষতা গুণে ব্যবসার প্রসার ঘটান। ব্রজবল্লভ পুত্র গৌরকিশোর কলিকাতায় লেখাপড়ার সুবাদে ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সহচর্যে আসেন এবং জমিদারী খরিদ করেন। গৌরকিশোর ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজা উপাধী লাভ করে। গৌরকিশোর রায় ও রাণী লক্ষ্মী প্রিয়া ছিলেন নি:সন্তান। তারা ঢাকার বিক্রমপুর থেকে গোবিন্দকিশোরকে পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করে। গোবিন্দ কিশোর পুত্র নলীনি কিশোর রায় চৌধুরী তাদের জমিদারীর খাজনা আদায়, তদারকী ও প্রসারে দক্ষতার পরিচয় দেয়। দালাল বাজার এন.কে উচ্চ বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, ঠাকুর মন্দির এ পরিবারের অবদান। জমির বাড়ির প্রাচীর, অন্দর মহল, নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে কয়েকটন ওজনের লোহার ভীম, বিরাটাকার লোহার সিন্দুক, নৃত্যশালা, বহিরাঙ্গণ দেখতে আজো মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে। উল্লেখ্য দালাল বাজারের জমিদার লক্ষ্মী নারায়নের নামানুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস